ডেস্ক রিপোর্ট::
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে পবিত্র ‘জুমাতুল বিদা’ পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ জুন) বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের প্রায় সব মসজিদে মুসল্লিদের ঢল নামে। জুমাতুল বিদাকে কেন্দ্র করে নামাজ শুরুর আগেই সব মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। অনেকে মসজিদের আঙিনা ও রাস্তায় নামাজ আদায় করেন।
পবিত্র রমজান মাসের শেষ শুক্রবার জুমাতুল বিদা হিসেবে পালিত হয়। মূলত জুমাতুল বিদার মধ্য দিয়ে মাহে রমজানকে বিদায় জানানো হয়। তাৎপর্যপূর্ণ এ দিনটি আল-কুদস দিবস হিসেবেও পালিত হয়।
নামাজের আগে জুমাতুল বিদার তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। জুমার দুই রাকাত নামাজ শেষে মসজিদে মসজিদে গোটা দেশ ও জাতির সুখ, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এবং শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। জুমা শেষে আল্লাহর দরবারে ক্ষমা ও রহমত কামনা করেন মুসল্লিরা।
এদিন সিয়াম শেষ হয়ে যাওয়ার সতর্কতামূলক দিবস। মুসলমানদের কাছে জুমাতুল বিদার তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য সর্বাধিক। জুমাতুল বিদা স্মরণ করিয়ে দেয় যে রোজার শেষ প্রান্তে এর চেয়ে ভালো দিবস আর পাওয়া যাবে না।
রোজার শুরু থেকে যেসব ইবাদত ব্যস্ততাবশত ফেলে রাখা হয়েছে, যে গুনাহখাতা মাফের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে ভুল হয়েছে, জুমাতুল বিদার দিনে দোয়া কবুল হওয়ার সময়ে এর বরকত হাসিল করা বাঞ্ছনীয়।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহখাতা মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো হতভাগা আর নেই।’
আলেমরা ও ইসলামি চিন্তাবিদদের মতে, রমজান মাসের সর্বোত্তম দিন হলো জুমাতুল বিদা। এদিন মুমিন মুসলমানদের ইমানি সম্মিলন হয়। এদিনে এমন একটি সময় আছে যে সময় মুমিন বান্দার মোনাজাত ও ইবাদত আল্লাহ বিশেষভাবে কবুল করেন। এ সময়টি হলো দ্বিতীয় খুতবার আজানের সময় থেকে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। এমনিতেই সাপ্তাহিক জুমার নামাজ মুসলমানদের বৃহত্তর জামাতে অনুষ্ঠিত হয়। রমজান মাসের জুমাবার আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতময়।
পাঠকের মতামত